পূর্বস্থলীতে মদের দোকান খুলতেই মহিলাদের বিক্ষোভ , ব‍্যাপক উত্তেজনা

21st June 2020 7:27 pm বর্ধমান
পূর্বস্থলীতে মদের দোকান খুলতেই মহিলাদের বিক্ষোভ , ব‍্যাপক উত্তেজনা


অভিষেক চৌধুরী ( কালনা ) : বন্ধ হয়ে থাকা একটি মদের দোকান খুলতেই প্রমিলা বাহিনীর বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দোকান মালিক।  পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পাটুলি পন্চায়েতের বহরা এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে মদের দোকানের দুজনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
              স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে পূর্বস্থলীর পাটুলির বহড়া এলাকায় রয়েছে ওই মদের দোকানটি।স্থানীয়দের অভিযোগ ওই এলাকায় মদের দোকান থাকার ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।আর সেই কারণেই তারা বিষয়টি প্রশাসনকেও জানিয়েছে।বেশ কিছুদিন ধরে দোকানটি বন্ধ ছিলো।রবিবার সকালের দিকে দোকানটি খুলতেই সরব হোন এলাকার মহিলারা।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছুটে আসেন এলাকার মানুষজন।আর ক্ষোভের মুখের পড়েন দোকান মালিক সহ কর্মচারীর।এলাকার বাসিন্দা গোপাল মন্ডল,কার্তিক রায় বলেন,‘মদের এই দোকানটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত  হলেও দোকানটি থাকার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।কারণ রাত বাড়তেই মদ খেয়ে গালিগালাজ করতে করতে অনেকেরই বাড়ির উঠোনে চলে যান মদ্যপরা।আমাদের  অনেকের বাড়ি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নেই।স্বাভাবিক কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগি।এই বিষয়ে প্রশাসনের উপর মহলকে আমরা জানিয়েছি যাতে এই মদের দোকানটিকে এখান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।এরপরেই দোকানটি বন্ধও হয়ে যায় মাসখানেক ধরে।হঠাৎই রবিবার সকালে দোকানটি একপ্রকার গায়ের জোরেই খোলে দোকান মালিক।এরপরেই আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।’খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পূর্বস্থলী থানার পুলিশ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দোকান মালিক ও কর্মচারীকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।এই বিষয়ে পূর্বস্থলীর বিডিও সৌমিক বাগচি বলেন,’বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।